“অদৃশ্য কারনে হচ্ছেনা প্রতিকার”
স্টাফ রিপোর্টার:- বানিয়াচং উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বিভিন্ন সময়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও অদৃশ্য কারনে প্রতিকার পাচ্ছেননা ভুক্তভোগীরা।সম্প্রতি বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে ২৫ এপ্রিল আবারো আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আতাউর রহমান এবং শায়েস্তাগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সনজিত কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বর ইউনিয়ন ভিডিপি দলপতি মোঃ এনায়েত হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,কর্মকর্তা আতাউর রহমান এবং সনজিত কুমার দাসের সমন্বয়ে বিগত দূর্গা পূজায় বিভিন্ন মন্ডপে অল্প সংখ্যক আনসার সদস্য দ্বারা ডিউটি করানো হয়।অথচ মাষ্টাররোলে একাধিক ব্যক্তির নাম ডুকিয়ে নিজেরাই জাল স্বাক্ষর করে ভাতার টাকা পকেটস্থ করেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দালাল মারফত লোকজন দিয়ে ডিউটি করিয়েও লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
সম্প্রতি ৮ই মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনগড়া লোক দিয়ে ডিউটি করানো হয়,যাদের কোন প্রকার অস্ত্র চালনায় ট্রেনিং নেই।পূর্বের নিয়মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
তাছাড়া বিভিন্ন ট্রেনিং,সমাবেশের নামে ভাতা,খাবারের টাকা আত্মসাতের কথা উল্লেখ রয়েছে।নিয়োগ বানিজ্যেও হচ্ছে অনিয়ম।বিভিন্ন ইউনিয়ন দলপতিদের সাথে দূর্ব্যবহার করে তাদেরকে কোনঠাসা করে তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত করে রেখেছেন আতাউর রহমান এবং সনজিত কুমার দাস। উল্লেখ্য-ইতিপূর্বেও ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ,দূর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিভিন্ন ইউনিয়ন দলপতি ও সদস্যরা।
অভিযোগকারী মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন,
দূর্নীতির আতুরঘর হয়ে পড়েছে বানিয়াচং আনসার ভিডিপি অফিসটি।আমাদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে।যারা সদস্য নয় তাদের দিয়েও ডিউটি করিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।হাজার টাকা ঘুষ দিলেই যেকোন ব্যক্তিকে ডিউটি করার সুযোগ দেয়া হয়।মাসে মাসে মিটিং করার নিয়ম থাকলেও বাস্তবে তা হচ্ছেনা।
মিটিং না করেও কাগজে পত্রে ঠিকই মিটিং দেখানো হচ্ছে।এসব অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমি মৌখিক প্রতিবাদ করায় আমাকে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।আমি নিরুপায় হয়ে জেলা স্যার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।এরপর থেকেই অভিযোগ তুলে নিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করে চলেছে সনজিত কুমার দাস।আমি অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইউনিয়ন দলপতি,দলনেত্রী,কমান্ডারদের চাপ প্রয়োগ করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহন করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে আতাউর রহমানের মুঠোফোনে
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আপনাকে বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয়।
এবিষয়ে জানতে হবিগঞ্জ জেলা কমান্ডেন্ট অরুপ রতন পালের মুঠোফোনে একাধিক কল দিলেও কল রিসিভ হয়নি।