সোমবার | ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

বানিয়াচং মার্কুলী বাজারে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের।।

প্রকাশিত :

“ফলোআপ” বানিয়াচং, প্রতিনিধি : বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী বাজারে ব্যাবসায়ীকে মারধর,দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মার্কুলী লামা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ(০৪) আদালতে ৩০ সেপ্টেম্বর ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ব্যাবসায়ী নূরুল ইসলাম মিয়ার ভাই মঈনুদ্দিন মেম্বার।

অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা হলেন পাশ্ববর্তী মুরাদপুর গ্রামের হামদু মিয়া,জালাল নিয়া,কামাল মিয়া,আমান মিয়া,হোসাইন মিয়া,চুন্নু মিয়া ও শাহিন মিয়া।

এ ব্যাপারে ব্যাবসায়ী নূরুল ইসলাম মিয়া জানান, সন্ত্রাসী হামদু মিয়া তার ছয় সহযোগী কে নিয়ে
আমার মোরগের দোকানে এসে ব্যাবসায়িক কাজে বাধা প্রদান করে।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সন্ত্রাসী হামদু মিয়া তার সহযোগিদের নিয়ে দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ টাকা সহ ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ সময় ওই ব্যাবসায়ী বাধা দেওয়ায় মারপিট করে ও দোকান ঘর ভেঙে রেখে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মঈনুদ্দিন মেম্বার জানান,এরা এই বাজারে কিছুদিন পরপরই ব্যাবসায়ীদেরকে ব্যাবসায়িক কাজে অযথা বাধা প্রদান করে। গতকাল ও নূরুল ইসলাম মিয়ার দোকানে ব্যাবসায়িক কাজে বাধা প্রদান করে এক পর্যায়ে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুটপাট করেছে। বাধা দেওয়ায় মারপিট করে ও দোকান ভেঙে ফেলেছে।

এ ব্যাপারে মার্কুলী বাজার কমিটির সেক্রেটারি আব্দুল মোছাব্বির মিয়া জানান,আমি এলাকায় উপস্থিত নাই। তবে বিষয়টি আমাকে ভুক্তভোগী ও ইউপি সদস্য জানিয়েছেন
এ ব্যাপারে মার্কুলী নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো: শাহজাহান আলী মন্ডল জানান,ঘটনা অবগত হয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি।

দোকান ঘর ভাংচুরের ঘটনা সত্য। তার দোকানের কিছু জায়গা রাস্তায় বাড়তি থাকায় সরানোর কথা বল্লেও ওই ব্যাবসায়ী না সরানোতে ভাঙা হয়েছে বলে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ব্যাবসায়ীরা জানান, অভিযুক্তরা স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাদাবাজ। এই লোকগুলো প্রায় সময়ই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে। ইতিপূর্বে মার্কুলী নতুন বাজার এলাকায় রাধারমণ মেডিকেলে ও ব্যাবসায়িক কাজে বাধা প্রদান করে ও চাদা দাবি করে হামলা চালায় অভিযুক্ত হামদু গং।

পরবর্তীতে সেনাক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযুক্তরা ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে বিষয়টি আপোষ মীমাংসায় সমাধান করতে বাধ্য হয়েছিলো।

 

আজকের সর্বশেষ সব খবর